অধ্যক্ষর বাণী

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব ডা. দিলীপ কুমার রায়, রেজিষ্টার কাম সেক্রেটারী ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, অত্র কলেজের সম্মানীত প্রতিষ্ঠাতা ডা. মির্জা ওবায়দুল্লাহ্, প্রতিষ্ঠাতা প্রতিনিধি ডা. মির্জা কুতুব উল্লাহ্, সম্মানীত বোর্ড সদস্যবন্দ, সম্মানীত দাতা সদস্যবৃন্দ , হোমিও অনুরাগীবৃন্দ , শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ সহ সকলকে জামালপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল এর পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, বিশেষ করে যাদের কথা না বললেই নয় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মরহুম ডা. মির্জা ওবায়দুল্লাহ স্যার যিনি ১৯৯২ সালে কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রথম যাত্রা শুরু করেন। তিনি তার মাতার নিকট হতে রেজিষ্টিকৃত হেবা দলিল মূলে প্রাপ্ত একখন্ড ভূমি হতে ১ একর ৫০ শতাংশ ভূমি কলেজ বরাবর দান করেন । সেই সঙ্গে কলেজের ভবন নির্মাণের জন্য ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নগদ দান করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ডা. আলহাজ আব্দুল জলিল এস. এম ইউছুব আলী, খন্দকার আব্দুল মতিন, জনাব হাসান মাহমুদ রাজা, জনাব সাহাব উদ্দিন সাহেব কে সঙ্গে নিয়ে তাদের সার্বিক সহযোগিতায় কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও অনেক হোমিও ডাক্তারগণ ও হোমিও অনুরাগীবৃন্দ ইতিমধ্যেই যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের বিদেহী আত্তার মাগফেরাত কামনা করছি। বৈশ্বিক করুণা মহামারী প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথি বোর্ডের মাননীয় চেয়ারম্যান ও রেজিষ্টার কাম সেক্রেটারী মহোদয়ের নির্দেশ মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটি খোলা রেখে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে বিনামূল্যে করুণাসহ সকল রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে স্থানীয়ভাবে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। প্রতি বছর এই কলেজ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ডি.এইচ.এম.এস ডিগ্রীধারী ডাক্তার বেরিয়ে যাচ্ছে। জামালপুর সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুস্থ অসহায় দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সরকার ইতিমধ্যেই বাস্তবতার নিরিক্ষে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক নিয়োগ করেছে। এলোপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান রাখছে। সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে বিকল্প চিকিৎসা সেবার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্য সেবায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অলটারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতির অন্যতম হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি যা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত, খরচও কম । এতে পরীক্ষা নিরিক্ষায় বাড়তি ঝামেলার প্রয়োজন হয়না । দেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হোমিওপ্যাথিতে আরো দক্ষ চিকিৎসক তেরী করা প্রয়োজন। আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থা হোমিওপ্যাথির উন্নয়নে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড গঠণের মাধ্যমে উন্নয়নের জয়যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে বঙ্গ বন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। যার মধ্যে হোমিওপ্যাথি বোর্ড ভবন নির্মাণের জন্য ১ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ প্রদান, জেলা উপজেলায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের মেডিকেল অফিসার হিসেবে সরকারি চাকুরি প্রদান করেন। সর্বশেষ ২০২৩ এর একাদশ সংসদ অধিবেশনে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা আইন পাশ করেন। এর ফলে হোমিওপ্যাথির বিজয় ও সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি আর্ন্তজাতিক মানের হোমিওপ্যাথিক রিসার্চ ইন্সটিটিউট, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে একটি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি আধুনিক হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা সিদ্ধান্ত হয়। আমার বিশ্বাস বর্তমান সরকারের সময়েই জাতীয় পর্যায়ে রিসার্চ ইন্সটিটিউট, হোমিওপ্যাথিক বিশ্ব বিদ্যালয়, আধুনিক হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল, শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তাদের শতভাগ বেতন ভাতাসহ হোমিওপ্যাথির উন্নয়নের জন্য গৃহীত সকল কর্মকান্ড বাস্তবায়ন হবে। । আমি আশা করি জামালপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের শিক্ষার্থীগণ জ্ঞান ও মেধার সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসা প্রদান করে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করবে। জাতীয় প্রয়োজনে বিশেষ করে জামালপুর জেলার আর্তপীড়িত মানব সেবায় জামালপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে হোমিও চিকিৎসার প্রচার, প্রসার অধিকতর যোগ্য চিকিৎসক গড়ে তোলা এবং জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় সুদৃঢ় ভূমিকা রাখবে এটাই আমার প্রত্যাশা।